Posts

আল্লাহর ওলীগণের কাছ হতে সাহায্য প্রার্থনা প্রসঙ্গে উত্থাপিত আপত্তিসমূহের বিবরণ

Image
দ্বিতীয় অধ্যায় (আল্লাহর ওলীগণের কাছ হতে সাহায্য প্রার্থনা প্রসঙ্গে উত্থাপিত আপত্তিসমূহের বিবরণ) এ বিষয়ে ভিন্নমতাবলম্বীগণ কর্তৃক কয়েকটি বহুল প্রচারিত আপত্তি উত্থাপিত হয়ে থাকে, যা’ তারা সব জায়গায় উত্থাপিত করে থাকেন। এ বিষয়ে ভিন্নমতাবলম্বীগণ কর্তৃক কয়েকটি বহুল প্রচারিত আপত্তি উত্থাপিত হয়ে থাকে, যা’ তারা সব জায়গায় উত্থাপিত করে থাকেন। ১নং আপত্তি : সুবিখ্যাত মিশকাত শরীফে ‘বাবুল ইনযার ওয়াত তাহযীর’ শীর্ষক অধ্যায়ে আছে, হুযুর (আলাইহিস সালাতু ওয়াস সালাম) হযরত ফাতিমা যুহরা (রা:) এর উদ্দেশ্যে বলেছেন : لاَاَغْنِىْ عَنْكِ مِنَ اللهِ شَيْئًا -‘‘আমি তোমাকে সাহায্য করে আল্লাহর আযাব থেকে রেহাই দিতে পারি না।’’  (বোখারী:২৭৫৩)যখন রাসূল (:ﷺ) দ্বারা হযরত ফাতিমা-তুয-যুহরার (রা:) উপকার সাধিত হচ্ছে না, এমতাবস্থায় অন্যান্যদের বেলায় তাঁর কীই বা করার আছে? উত্তর : এ উক্তিটি ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকের ঘটনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এ হাদীছের গুঢ়ার্থ হচ্ছে, হে ফাতিমা (রা:), তুমি যদি ঈমান না আন, তাহলে আমি খোদার প্রতিদ্বন্দী হয়ে তোমাকে শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারব না। হযরত নুহ (আ:) এর পুত্রের ঘটনার কথা স্মরণ কর“ন।

আল্লাহর ওলীগণ থেকে সাহায্য প্রার্থনার স্বীকৃতি সূচক যুক্তিসঙ্গত প্রমাণাদি ২য় অধ্যায়

Image
আল্লাহর ওলীগণ থেকে সাহায্য প্রার্থনার স্বীকৃতি সূচক যুক্তিসঙ্গত প্রমাণাদি মর্ত্যজগত হচ্ছে পরকালের নমুনা। এখানকার কাজ কারবার থেকে ঐ জগতের কাজ কারবার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। এ জন্যই কুরআন করীম কিয়ামত, পুনর“ত্থান ও মহাপ্রতিপালকের একচ্ছত্র আধিপত্রের বিষয়কে পার্থিব দৃষ্টান্তসমূহের দ্বারা প্রমাণ করছে। যেমন- কুরআন বলছে, শুক্না ভূমিতে বারিপাত হলে, তা’পুনরায় শস্য-শ্যামল প্রান্তরে রূপান্তরিত হয়। এভাবে নিষ্প্রাণ দেহে পুনরায় প্রাণের সঞ্চার করা হবে। অন্যত্র বলা হয়েছে, তোমরা বরদাশত করবে না যে, ক্রীতদাসদের উপর তোমাদের মালিকানায় অন্য কেউ অংশীদার হোক; এমতাবস্তায় আমার সর্বময় কর্তৃত্বে প্রতিমা ইত্যাদিকে অংশীদাররূপে স্বীকার করছ কেন? এক কথায় বলতে গেলে, এ দুনিয়া হচ্ছে পরকালের নমুনা। এখানে দেখাতে পাচ্ছেন, রাজা-বাদশাহ প্রত্যেকটি কাজ নিজ হাতে করেন না, বরং রাজ্য পরিচালনার জন্য যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পাদনের নিমিত্ত বিভিন্ন বিভাগ সৃষ্টি করেন, প্রত্যেক বিভাগে বিভিন্ন স্তর ও গুণের অধিকারী লোক নিয়োগ করেন, কাউকে অফিসার আবার কাউকে তার অধীনস্থ হিসেবে নিযুক্ত করেন। আবার ওই সব বিভাগের উপর কর্তৃত্বকারী বা সর্বোচ্চ

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়া ১ম অধ্যায়

Image
আল্লাহ ভিন্ন অন্য কারো কাছে সাহায্য চাওয়াঃ   আল্লাহর ওলীগণ ও আম্বিয়ায়ে কেরাম থেকে সাহায্য প্রার্থনা করা বৈধ,যদি এ আকীদা পোষণ করা হয় যে, মূলতঃ সাহায্যের উৎস মহান প্রতিপালকই।ওলী ও নবীগণ হচ্ছেন সেই সাহায্যের বিকাশস্থল।মুসলমান এ আকীদাই পোষণ করেন।কোন মূর্খও কোন ওলীকে খোদা মনে করে না।খোদা ভিন্ন অন্য কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনার স্বীকৃতি সূচক অনেক প্রমাণ পাওয়া যায় কোরআনী আয়াতসমুহে,বিশুদ্ধ হাদিস সমূহে,ফিকাহ শাস্ত্রবিদ ও হাদিসবেত্তাগণের উক্তিসমূহে,এমনকি স্বয়ং ভিন্নমতাবলম্বীদের উক্তি সমূহেও।এখন এসবের পৃথক পৃথকভাবে বর্ণনা করার প্রয়াস পাচ্ছি। কোরআন কারীমে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃِ وَادعوا شُهَداءَكُم مِن دونِ اللَّهِ إِن كُنتُم صٰدِقينَ  অর্থাৎঃ আল্লাহ্‌      ব্যতীত      নিজেদের      সকল  সহায়তাকারীকে  আহবান  করো  (সাহায্যের  জন্য), যদি তোমরা সত্যবাদী হও! (সূরা বাকারা, আয়াতঃ২৩,পারাঃ১) এ আয়াতে কাফিরদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে- কোরআনর অনুরুপ একটি সূরা গঠন করে দেখাও,তোমাদের এ কাজে সহায়তাদানের জন্য তোমাদের সাহায্যকারীদেরকে ডেকে নাও।দেখুন,খোদা ভিন্ন অন্য কিছু বা অন্য কারো কাছ থেকো সাহায্য চাওয়

ওহাবী ফিতনা

Image
ফেতনার জন্ম এবং ফেতনায়ে ওহাবীয়া হাদিসের আলোকেঃ প্রায় পৌনে চৌদ্দশ’ বছর গত হলো ইসলাম ধর্ম এ পৃথিবীতে এসেছে। এর মধ্যে অনেক বিপদাপদের মুকাবেলা করতে হয়েছে এ পবিত্র ধর্মকে। হুযুর ﷺ এর সুশোভিত এ উদ্যানের উপর দিয়ে অনেক প্রলয়ঙ্করী ঝড়-তুফান বয়ে গেছে। কিন্তু খোদার লাখো শুকরিয়া যে, এ বাগান পূর্ববৎ সজীব ও প্রাণবন্ত রয়েছে। ইসলাম-রবি বার বার কালো মেঘে আচ্ছাদিত হয়েছে, কিন্তু এ সূর্য পূর্ববৎ আলোক উজ্জ্বল ও উদ্ভাসিত রয়ে গেছে। উজ্জ্বল থাকবে না বা কেন? আল্লাহ স্বয়ং এ ধর্মের হিফাজতকারী ও সাহায্যকারী। আল­াহ পাক ফরমান ঃ- إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ -‘‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এটির হিফাযতকারী।’’ এ ধর্ম কখনো কুখ্যাত ইয়াযীদের শাসনামলে মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে, কখনও হাজ্জাজের আমলের নির্যাতনে ধূলিধূসরিত হয়েছে, কখনো খলীফা মামুনের আমলে বাতিলপন্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে, আবার কখনো তাতারীগণ বীর-বীক্রম  এর উপর প্রচন্ডআঘাত হেনেছে, কখনও খারেজীগণ এর মুকাবিলা করেছে, রাফেজীরাও একে সমূলে বিনাশ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু এটি এমনই এক পাহাড়, যার সম্মুখে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারেনি